ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকায় চিকিৎসাধীন কক্সবাজারের করোনা রোগীর অবস্থার কিছুটা উন্নতি

ঢাকাস্থ উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন কক্সবাজারের একমাত্র করোনা ভাইরাস জীবাণু আক্রান্ত রোগীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কক্সবাজারের খুটাখালীর বাসিন্দা ৭৮ বছর বয়স্কা উক্ত করোনা রোগীর সাথে থাকা তাঁর কন্যা সাফিয়া বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরো জানান, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটের ৬ নম্বর বেডে তার মায়ের চিকিৎসা চলছে। রোববার ২৯ মার্চ সকালে হাসপাতালটির করোনা চিকিৎসা টিম সহ অন্যান্য রোগের বিশেষজ্ঞরা মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে তার মায়ের সমন্বিত চিকিৎসা শুরু করেছে। ১৫ ঘন্টার চিকিৎসায় তার মায়ের ডায়রিয়া, এজমা সহ অন্যান্য রোগের প্রভাব একটু কমে এসেছে। তবে নতুন করে তার করোনা ভাইরাস জীবাণু পরীক্ষা করা হয়নি।

শনিবার ২৮ মার্চ সকালে তার মায়ের স্বাস্থ্যের গুরতর অবনতি হওয়ায় তার মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাস্থ উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে রেফার করেন জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

শনিবার ২৮ মার্চ দিবাগত রাত পৌনে ১২ টার দিকে উক্ত করোনা রোগীকে বহনকারী কক্সবাজার থেকে ছেড়ে যাওয়া এ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে পৌঁছে। পরে তাকে হাসপাতালটির করোনা আইসোলেশন ইউনিটের ৬ নম্বর বেডে ভর্তি করিয়ে জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় বলে জানান সাফিয়া বেগম।

ঢাকায় সরকারিভাবে যে ১১ টি হাসপাতালকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল করোনা চিকিৎসা সেবায় শীর্ষে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সৌদী আরবে উমরাহ হজ্জ করতে যান উক্ত করোনা রোগী। গত ১৩ মার্চ মহিলাটি তার সন্তান ব্যাংকার হারুনর রশিদ সহ দেশে ফেরেন। পরে মহিলাটি গুরতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বিদেশ থেকে আসার বিষয়টি সম্পূর্ণ গোপন রেখে তাকে ১৮ মার্চ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ২২ মার্চ মহিলাটির চিকিৎসকেরা তার শরীরের স্যাম্পল সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য ঢাকার আইইডিসিআর ল্যাবে পাঠিয়ে দেন। গত ২৪ মার্চ টেস্ট রিপোর্ট আসলে সেখানে তার শরীরে করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়ে। পরে গত ৪ দিন যাবৎ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত মহিলাটিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রেখে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ করতে না পেরে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ঢাকায় রেফার করেন।

পাঠকের মতামত: